সদ্য অনুষ্ঠিতব্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাগরপুরের ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করা মাহির ফয়সাল(২৫) তার নিজের মা ও বোনকে নির্যাতনের অভিযোগে গতকাল ২৪ অক্টোবর'২৪ বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হয়েছে।
বিষয়টি নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম আজ ২৫ অক্টোবর'২৪ রোজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন- গতকাল রাতে ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করা মাহির ফয়সালের মা শামীমা আক্তার থানায় এসে আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মাহিরের মা শামীমা আক্তার উল্লেখ করেন- মাহির এলাকার বাজে ছেলেদের সাথে মিশে প্রায় সময় নেশা করে বাড়ি আসে। সমন্বয়কের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। এ বিষয়ে মাহিরকে আমি বাঁধা দিলে মাহির অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গতকাল ২৪ অক্টোবর সন্ধায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাহির বাড়ি গিয়ে আমাকে কাঠের চলা দিয়ে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে মাহির বটি দা দিয়ে আমাকে খুন করার জন্য তাড়া করে। আমি ভয়ে দৌড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেই। এক রকম বাধ্য হয়েই নিজে বাদি হয়ে ছেলের বিরোদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। এই নির্যাতন সে দীর্ঘদিন যাবত ধারাবাহিকভাবেই করে আসছে।
সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেপ্তার করে ইতিমধ্যে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন- নাগরপুর বাস স্ট্যান্ডের এক কলা ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ওই ব্যবসায়ি শুভ মিয়াকে কাস্তে দিয়ে কপালে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে। আহত শুভর ভাই মো. সবুজ মিয়া বাদি হয়ে থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দুইটি অভিযোগেরই তদন্ত চলমান। দুটি অভিযোগেরও আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মাহির নাগরপুর সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের মো. আরিফুল ইসলামের ছেলে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, মাহিরের সহযোগী ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করা আবুবকর এর নামেও মাদক সেবন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।