সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

MD. Sayem Uddin

Updated 24-Dec-05 /   |   স্টাফ রিপোর্টর   Read : 20
বক্তব্য দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ৪ ডিসেম্বর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা হবে, সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রেখে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ শীর্ষক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ নেপালের সঙ্গেও আপনাদের (ভারতের) ভালো সম্পর্ক নেই। ভারতের নীতিনির্ধারকেরা মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি। শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। ভুটান আর মিয়ানমারের সঙ্গেও কোন্দল।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশ আর কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। মতপার্থক্য পরমতসহিষ্ণুতার মধ্যে থাকতে হবে। আমাদের দ্বিমত প্রকাশ থাকবে, সেটা যেন সৌন্দর্যের সংস্কৃতির মধ্যে থাকে। সেটি যেন আওয়ামী লীগের দমন–পীড়নের মতো করে না হয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যত দিন ঐক্য আছে, তত দিন আমাদের মধ্যে কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে হলে, সেই পথ অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট এই আলোচন  সভার আয়োজন করে। সভার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম। উপাচার্য বলেন, ‘আশা ছিল ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন দেখার। শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় সেটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

সভায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র রয়েছে, তাই সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। আমরা অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা চাচ্ছি, জাতীয় সরকারের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার কাছে স্পষ্ট বার্তা যাবে।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এজেন্ডা হওয়া উচিত ছাত্রদের অধিকার আদায়। এজেন্ডা যদি ছাত্রদের বাইরে হয়, তাহলে সেই ছাত্ররাজনীতি ছাত্ররা গ্রহণ করবে না। ছাত্রলীগের মতো রাজনীতি থেকে বের হতে না পারলে, সেই রাজনীতি ছাত্ররা গ্রহণ করবে না।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইয়ামিন মোল্লা, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব মীর ছিবগাতুল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল বাশার প্রমুখ।