সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


আখাউড়া সীমান্ত অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের ‘লং মার্চ’ বুধবার: সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা

MD. Sayem Uddin

Updated 24-Dec-09 /   |   স্টাফ রিপোর্টর   Read : 29
সংবাদ সম্মেলন যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। রাজধানীর নয়াপল্টন, আজ ৯ ডিসেম্বর

রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আখাউড়া সীমান্ত অভিমুখে আগামী বুধবার ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গতকাল রোববার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার পর আজ সোমবার সকালে তিন সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম তিন সংগঠনের পক্ষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত আমরা লং মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সকাল আটটায় নয়াপল্টনে জমায়েত হয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ লং মার্চ শুরু করব এবং আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাব।

ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-যুবক-স্বেচ্ছাসেবক নেতা-কর্মীদের এই লং মার্চে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

যুবদলের এই নেতা লং মার্চ কর্মসূচিতে গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

গতকাল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা করে। পুলিশ রামপুরা ব্রিজের কাছে নেতা-কর্মীদের আটকে দিলে তিন সংগঠনের নেতারা বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘আমরা তিন সংগঠন গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনের অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশ দিয়ে গোপ, হৃদয় তারুয়া, রুদ্র সেন, দীপ্ত দে, শুভ শীল, তনয় দাসদের খুন করেছে, ভারত তখন কোনো প্রতিবাদ বা উদ্বেগ জানায়নি। কিন্তু হাসিনার পতনের পর ভারত কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্র–জনতার সরকারকে বিব্রত করার সুযোগ দিয়েছে।’

আবদুল মোনায়েম আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সরকারকে বিব্রত করার সুযোগ দিয়েছে। বহিষ্কৃত ইসকনের নেতা বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের নেতা ভারতীয় প্রচারমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাহ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।