বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামানের নেতেৃত্বে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কায়ালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ১৭ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ২২, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই রাতে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রকাশিত হয়। নিয়োগ প্রাপ্তদের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেন কতৃর্পক্ষ। ওই পরীক্ষায় নুসরাত জাহান নামের এক প্রার্থী স্বাস্থ্য সহকারী পদে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার স্বামী কবির হোসেন একই পদে গোসাইরহাট উপজেলার আলওয়ালপুর ইউনিয়নে কর্মরত রয়েছেন। নুসরাত জাহান তার স্বামীর পরিচয় গোপন করে পিতার পরিচয়ে চাকরি পান।
অভিযান শেষে সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মাদারীপুর) আক্তারুজ্জামান জানান, নুসরাত জাহান যে ওয়ার্ড কোটায় চাকরি পেয়েছেন, সেই ওয়ার্ডে আরো ৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকলেই লিখিত পরীক্ষায় নুসরাত জাহানের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় নুসরাত জাহান ছাড়া সবাই ফেল করেছে। আমাদের মনে হয়েছে এখানে কোনো অনিয়ম ও দুনীর্তি হয়েছে। তাছাড়া এই অফিসের প্রধান সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) ও স্টোরকিপারের দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে