সেন্টমার্টিনের ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে প্রায় এক মাস ধরে কোনো ডাক্তার ও নার্স না থাকায় দ্বীপের ১০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দ্বীপের একমাত্র হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার অভাবে বন্ধ রয়েছে, যা দ্বীপবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গভীর সংকট তৈরি করেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সরকারিভাবে হাসপাতালটিতে ডাক্তার ও নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কোনো চিকিৎসক বা নার্স নেই। কয়েক বছর ধরে একটি এনজিওর মেডিকেল টিম এখানে সেবা দিয়ে আসছিল, কিন্তু প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারাও সরে গেছেন। দ্বীপবাসীর জন্য নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ডাক্তার ও নার্সের ব্যবস্থা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারসহ ১৫ জনের পদ থাকলেও এখন সেখানে শুধু একজন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন। ডাক্তার-নার্স না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ। বিভিন্ন সময় ডাক্তারের পোস্টিং হলেও তারা দ্রুত অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দিতে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার পাঠানো হয় এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।