শহর কিংবা নগর সব জায়গায় একই চিত্র । টেকনাফ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং আর লোডশেডিং। ঘন্টার পর ঘন্টা ভেলকিবাজি এর কারণে টেকনাফ শহর পরিণত হয়েছে ভুতের নগরীতে। বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের দেখা পাওয়া অনেকটা সোনার হরিণের মতো হয়ে পড়েছে। টেকনাফের প্রত্যেকটি জায়গায় ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ রোগী, শিশুরাও রাতে কিংবা দিনে একটানা পরিপূর্ণভাবে ঘুমাতে পারছে না। ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে। নামাজের সময়ও লোডশেডিং থেকে বাদ পড়ছে না। গরমের অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে নগরের মানুষ।
এই লোডশেডিং এর নাকাল থেকে কখন রক্ষা পাবে তা জানা নাই কারো। প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছয় থেকে সাতবার লোডশেডিং হচ্ছে টেকনাফে। টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ জানান, সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু স্বস্তি পাওয়া যায় না, সময়ও থাকেন বিদ্যুৎ। একদিকে অক্টোবর মাস শেষ নবেম্বর শুরু প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকা এই দুই সংকটে মিলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আহমেদ জানান। বেশ কয়েকদিন যাবৎ আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা, বিদ্যুৎ না থাকায় গভীর নলকূপ থেকে পানি তোলা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ফলে এলাকার মানুষ সুপিয় পানি পান করতে পারছে না।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী জানান, সারাদিন বাইরে থাকার পর রাতে ঘরে আসলে গরমের অতিষ্ঠ যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছি। খোঁজ নিয়ে এবং সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শুধু টেকনাফ শহর নই মোটামোটি উপজেলার সব ইউনিয়নের একই অবস্থা।
বাহারছড়া ইউনিয়নের জহুর আলম বলেন, প্রতিদিন রাতে বিদ্যুৎ থাকে না ফলে রাতে বাসায় গরমের কারনে ঘুমাতে পারিনা।
বিশেষ করে টেকনাফ উপজেলার পৌরসভা, হ্নীলা ইউনিয়ন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন,বাহারছড়া ইউনিয়ন, সাবরাং ইউনিয়ন এই ইউনিয়ন নিয়ে টেকনাফ উপজেলা গঠিত এলাকায় মারাত্মক লোডশেডিং। বিদ্যুতের সমস্যার বিষয় জানার জন্য টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) এর মোবাইল ফোনে, একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারে বার কল করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।