সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

MD. Sayem Uddin

Updated 24-Dec-04 /   |   স্টাফ রিপোর্টর   Read : 30
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার দুপুরে জামালপুর শহরের বাইপাস এলাকায়

জামালপুর শহরের বাস-ট্রাক মেরামত গ্যারেজের এক শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের বাইপাস এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন গ্যারেজের শ্রমিক ও মালিকেরা বিক্ষোভ করেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

মারধরের শিকার শ্রমিকের নাম মো. শামীম। তিনি শহরের বাইপাস এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন ধুয়ে গ্রিজ লাগানোর কাজ করেন।

মহাসড়ক অবরোধকারী শ্রমিকেরা বলেন, চার মাস আগে মো. শামীম শহরের ছনকান্দা এলাকার ট্রাকমালিক মো. সেলিম মিয়ার ট্রাক ধুয়ে গ্রিজ লাগিয়ে দেন। এতে ৪০০ টাকা বিল হয়। কিন্তু ওই সময় মো. সেলিম মিয়া সেই টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মো. শামীম ওই পাওনা টাকা চান। এতে মো. সেলিম মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে শামীমকে মারধর করেন। মারধরের প্রতিবাদে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিক ও ট্রাকমালিকেরা শহরের বাইপাস এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত মো. সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মারধরের শিকার মো. শামীম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে সেলিমের সঙ্গে দেখা হলে তিনি পাওনা টাকা চান। সেলিম ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ডান কানে কয়েকটি চড়–থাপ্পড় দেন। এতে তাঁর কান থেকে রক্ত পড়তে থাকে। এখন তিনি ওই কানে ভালোভাবে শুনতে পাচ্ছেন না। তিনি এ ঘটনায় বিচার চান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত মো. সেলিম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, যিনি মারধর করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।