হারিয়ে যাওয়া অসহায় বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন মিমি চক্রবর্তী। হারিয়ে যাওয়া সদস্যকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা রাণাঘাটের গাঙনাপুরের শীল পরিবার। কলকাতা পুলিশ ও সাংসদ অভিনেত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না কুমোদ শীলের ভাইপো ও তাঁর নাতি সৌরভ শীল। সাংসদ অভিনেত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বললেন কুমোদ বাবুর ভাইপো।
গত ২২অগস্ট আরাধনা চট্টোপাধ্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট নজরে পড়ে সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। আরাধনা চট্টোপাধ্যায় ও জয়দীপ সেন নামে দুই ব্যক্তি শেক্সপিয়র সরণিতে এক অসুস্থ বৃদ্ধকে বেঞ্চের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা দেখেন বৃদ্ধের পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছে। তাঁর পায়ে সংক্রমণ এতটাই বেশি যে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না। বৃদ্ধকে আরাধনা ও জয়দীপ খাবার ও জল দেন। তাঁরা বুঝতে পারেন, এই বৃদ্ধের অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেন আরাধনা-জয়দীপ।
বর্তমান কভিড পরিস্থিতির কারণে কোনও চিকিৎসকই বৃদ্ধকে সাহায্য করার জন্য সেখানে যাননি। অগত্যা কোনও উপায় না দেখতে পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়টি পোস্ট করেন আরাধনা ও জয়দীপ। তাঁদের সেই পোস্ট চোখে পড়তেই বৃদ্ধকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন মিমি চক্রবর্তী। কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই অসুস্থ বৃদ্ধকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন তিনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে খবর নজরে আসে রাণাঘাটের শীল পরিবারের। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওই বৃদ্ধের নাম কুমোদ শীল। গত তিনমাস আগে পেনশেন তুলতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। ওই বৃদ্ধ কীভাবে কলকাতায় চলে আসেন, তা জানে না ওই বৃদ্ধের পরিবারও।
কাকার খবর পেয়ে কুমোদ বাবুর ভাইপো মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর এরপরই উদ্যোগ নিয়ে কুমোদ শীলকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেন মিমি চক্রবর্তী। জিনিউজ