স্ত্রী ও কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ জাহিদুর রহমান জাহিদ ২০ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। রূপসা উপজেলার নারিকেলি চাঁদপুর গ্রামের মৃত শেখ ইলিয়াস শেখের ছেলে জাহিদ। সোমবার সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্র ও পরিবারের সদস্যদের বয়ানে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার উত্তর পাড়ার ময়েন উদ্দিনের মেয়ে রহিমার সঙ্গে শেখ জাহিদুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাহিদ শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি জাহিদের ঘর থেকে স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় জাহিদের শ্বশুর ময়েন উদ্দিন বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৮ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তার আগেই ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জাহিদুর। পরে জামিন পেয়ে পালিয়ে গেলেও আবার তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
২০০০ সালের ২৫ জুন বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি জাহিদুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর জেল আপিল করেন তিনি। চলতি বছরের ২৫ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালত তাকে নির্দোষ হিসেবে খালাস দিয়েছেন। পরে সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন।